আরবী ভাষা ও সাহিত্য, আরবী ব্যাকরণ, বালাগাত (অলংকার শাস্ত্র), মানতিক (তর্ক শাস্ত্র), ফালসাফা (দর্শন), তাজকিয়া (জীবন গঠন), ফারায়েজ ইত্যাদি শিক্ষাদান আরবী ও দ্বীনি ইলমসমূহের সহায়ক। এগুলি ইসলামী শিক্ষার একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ এবং মুসলিম সমাজের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রগতির জন্য অপরিহার্য।আরবী ভাষা ও সাহিত্য শিক্ষাদান ইসলামের মূল ভাষা ও কুরআন মাজীদের ভাষা। এটি মুসলিম ব্রাদারহুডের মধ্যে একত্রিত করে এবং কুরআন মাজীদ পড়ার জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি উপকরণ। আরবী ভাষা শেখার মাধ্যমে মুসলিম শিক্ষার্থীরা কুরআন মাজীদের সঠিক বুঝতে ও বাংলায় অনুবাদ করতে পারে। আরবী ব্যাকরণ শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের আরবী ভাষার নিয়ম ও ব্যাকরণের সঠিক ব্যবহার শিখিয়ে দেয়।বালাগাত বা অলংকার শাস্ত্র শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের ভাষার সুন্দরতা এবং অদ্ভুত ব্যক্তিত্ব বিকাশে সহায়তা করে। মানতিক বা তর্ক শাস্ত্র শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের মনোযোগ ও বিচারশক্তির উন্নয়নে সহায়তা করে। এটি তাদের বিচার ক্ষমতা ও তার্কিক ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য গুরুত্বপূর্ণ।ফালসাফা বা দর্শন শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের মানসিক ও দার্শনিক বিকাশে সহায়তা করে। এটি তাদের বিশ্বাস ও মূল্য বোধে উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। তাজকিয়া বা জীবন গঠন শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের নৈতিক ও আদর্শবাদের উন্নয়নে সহায়তা করে। এটি তাদের সঠিক জীবন পদ্ধতি ও স্বাস্থ্যকে বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ।ফারায়েজ শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামের প্রাথমিক ও আবদ্ধ দায়িত্ব সম্পর্কে শিখিয়ে দেয়। এটি তাদের ধর্মীয় জীবনধারার উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ। এই শিক্ষাদানগুলি মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামী আইন ও ব্যবহারিক শাস্ত্র, আকাঈদ (ঈমান, আকিদা ও চিন্তাধারা) ও ইলমে কালামের সঠিক বুঝতে ও অনুশীলন করতে সহায়তা করে।উপরে উল্লিখিত আরবী ও দ্বীনি ইলমসমূহের সহায়ক শিক্ষাদান মুসলিম শিক্ষার্থীদের ইসলামিক জ্ঞান ও সাংস্কৃতিক প্রগতির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এগুলি তাদের ইসলামিক আচরণ ও ধর্মীয় জীবনধারার উন্নয়নে সহায়তা করে। এই শিক্ষাদানগুলি তাদের কুরআন মাজীদ, তাফসীর, হাদীস শরীফ, ফিক্হ (ইসলামী আইন ও ব্যবহারিক শাস্ত্র) এবং ইলমে কালামের সঠিক বুঝতে ও অনুশীলন করতে সহায়তা করে। এই শিক্ষাদানগুলি মুসলিম সমাজের সঠিক ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক প্রগতির জন্য অপরিহার্য এবং মূলত মুসলিম শিক্ষার্থীদের জীবনে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।