﷽
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
ক) ভর্তি ফি সহ প্রয়োজনীয় চাঁদা মাদরাসার ছাত্রদের কাছ থেকে গ্রহণ করা যাবে। তবে, মাদরাসার সামর্থ অনুযায়ী ছাত্রদেরকে পাঠ্য কিতাব ও ছাত্রাবাস ইত্যাদি জরুরী বিষয়াবলীর ব্যবস্থা মাদরাসার পক্ষ হতে করা যেতে পারে।
খ) এমন সব নির্দেশ ও আইন-কানুন ছাত্রদেরকে অবশ্যই মেনে চলতে হবে যা কর্তৃপক্ষ তাদের শিক্ষক ও মাদরাসার আইন শৃংখলা রক্ষার জন্য জরুরী বলে বিবেচনা করেন।
গ) ছাত্রদেরকে অবশ্যই জীবনের সর্বক্ষেত্রে সুন্নাতের পাবন্দ তথা অতীত বুযুর্গানে দ্বীনের তরিকা মোতাবেক হতে হবে।
ঘ) যে সকল ছাত্র মাদরাসার আইন অমান্য করবে কিংবা উস্তাদগণের প্রতি যথাযোগ্য সম্মান প্রদর্শন করবে না তাদেরা ব্যাপারে মাদরাসা কর্তৃক প্রকাশিত তথ্য বইয়ে লিখিত নিয়মাবলী পালন করতে হবে।
ক) মাদরাসার শিক্ষা বৎসর সাধারণত ঃ চান্দ্র বৎসরের হিসাব মোতাবেক শাওয়াল মাস হতে আরম্ভ হয়ে শাবান মাস পর্যন্ত গণ্য হবে।
খ) আর্থিক বৎসর ১লা মুহাররম হতে আরম্ভ হয়ে ৩০ শে জিলহজ্জ শেষ হবে।
গ) মাদরাসা যেহেতু একটি আদর্শ আবাসিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেহেতু মাদরাসার ছাত্রদের জন্য ২৪ ঘন্টা কর্মসূচী থাকবে এবং ছাত্রদের দ¦ারা সেই কর্মসূচী বাস্তবায়ন করানো মাদরাসার শিক্ষকগণের পবিত্র দায়িত্ব বলে বিবেচিত হবে। তবে দরস পরিচালনার সময়সূচী ৭(সাত) পিরিয়ড থাকবে।
মাদরাসার সাধারণতঃ বৎসরে ৩টি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। যথাঃ
১। প্রথম সাময়িক
২। দ্বিতীয় সাময়িক ও
৩। বার্ষিক।
এ সমুদয় পরীক্ষার ফলাফলের উপরই ছাত্রদের উন্নতি অবনতি ফ্রি খোরাক ও অপরাপর সুবিধাদি পাওয়া না পাওয়া নির্ভর করবে এবং পরীক্ষাসমূহের ফলাফলের উপর মাদরাসার শিক্ষারমান নির্ণয় করা হবে এতদ্ব্যতীত শিক্ষার মান উন্নয়নে মাসিক পরীক্ষার ব্যবস্থা থাকবে।
*(ক) ১৪ শাবান হতে ২৮ শাবান পর্যন্ত মাদরাসা বন্ধ (পাঠদান বিরতি) থাকবে। ২৯ শাবান হতে ২৭ রমযান পর্যন্ত মাদরাসা খোলা রেখে উক্ত সময়ের মধ্যে পুরাতন ছাত্রদের ভর্তি সম্পন্ন করতে হবে।
খ) হিফজ ও মক্তব বিভাগ বাৎসরিক পরীক্ষার পর চালু থাকবে তবে, রমজানের ২৫ তারিখ হতে ১০ই শাওয়াল পর্যন্ত পাঠদান বিরতি থাকবে।
গ) কুরবাণী উপলক্ষে ১০ জিলহজ্জ হতে ১৯ জিলহজ্জ পর্যন্ত বন্ধ (পাঠদান বিরতি) থাকবে, তা ছাড়া প্রতি শুক্রবার সাপ্তাহিক পাঠদান বিরতি থাকবে।
ঘ) উল্লিখিত পাঠদান বিরতিগুলি ছাড়াও মাদরাসার উপকারার্থে মজলিসে ইলমীর পরামর্শ অনুযায়ী মোহতামিম সাহেব পাঠদান বিরতি দিতে পারবেন।
ঙ) বন্ধের (পাঠদান বিরতি) সময় কোন শিক্ষক বা খাদেমকে যদি মুহতামিম সাহেব প্রয়োজনবোধে দায়িত্ব অর্পণ করেন, তবে উল্লিখিত শিক্ষক বা খাদেম দায়িত্ব পালন করতে বাধ্য থাকবেন। এমতাবস্থায় তারা যে ক’দিন কাজ করবেন সে ক’দিন ছুটির সাথে সমন্বয় করা যেতে পারে।
চ) সরকারী (জাতীয়) ছুটির দিন সমূহে মাদরাসা বন্ধ (পাঠদান বিরতি) থাকবে।
**ছ) প্রতি বছর রমজান মাসে প্রতিষ্ঠান কর্তৃক দুইজন ওস্তাদ/ খাদেম দীনি দাওয়াতের উদ্দেশ্যে ৪০দিন তাবলীগে সময় ব্যয় করবেন এবং তারাও মাসিক হাদিয়াসহ অন্যান্য ওস্তাদ/খাদেমের মত ভাতা পাবেন। তবে তাবলীগের খরচ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি নিজেই বহন করবে।
নিয়মতান্ত্রিক বন্ধ ব্যতীত মাদরাসার শিক্ষক ও খাদেমগণ বেতনসহ দুই প্রকার ছুটি ভোগ করতে পারবেন।
১। ইত্তেফাকী (ক্যাজুয়াল লিভ)
২। অসুস্থতার ছুটি।
(ক) স্থায়ী শিক্ষক ও খাদেমগণ পূর্ণ বেতনসহ বৎসরে ১মাস অসুস্থতা ছুটি ভোগ করতে পারবেন। তদুর্ধ্বে- দুইমাস অর্ধেক বেতনসহ ছুটি ভোগ করতে পারবেন। তবে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসার কাগজপত্র দাখিল করতে হবে।
খ) স্থায়ী শিক্ষক ও খাদেমগণ বৎসরে ২০ দিন ইত্তেফাকি ছুটি ভোগ করতে পারবে। ** হিফজ, মক্তব ও ফতোয়া বিভাগের শিক্ষক ও খাদেমগণ ও মুবাল্লেগীন, মুহতামিম, নায়েবে মুহতামিম যারা নিয়মতান্ত্রিক পাঠদান বিরতি সমূহের যে কয়দিনে ছুটি ভোগ করতে পারেন নাই, সেই কয়দিন তাদের জন্য ইত্তেফাকী ছুটি বৎসরে ২০ দিনের সাথে অতিরিক্ত পাওনা হিসেবে বিবেচিত হতে পারে।
গ) বেতনসহ ছুটি শুধু স্থায়ী শিক্ষক ও খাদেমগণ ভোগ করবেন।
ঘ) ক ও খ- এ উল্লিখিত ছুটি ব্যতীত বিনা বেতনে কোন স্থায়ী শিক্ষক বা খাদেমকে ৪৫ দিন পর্যন্ত ছুটি দেয়ার ব্যাপারে মুহতামিম সাহেবের বিবেচনাধীন থাকবে ৪৫ দিনের উর্ধ্বে ছুটি একমাত্র মজলিসে আমেলার উপর ন্যস্ত থাকবে।
*ঙ) বালিকা শাখার শিক্ষিকাদের মাতৃকালীন সর্বোচ্চ ৩(তিন) মাসের বৈতনিক ছুটি অনুমোদন করা হয়। আর যদি ৩ (তিন) মাসের অধিক ছুটি ভোগ করেন তা অবৈতনিক ছুটি হিসাবে গন্যহবে। অবৈতনিক ছুটি ২ (দুই) মাসের অধিক হলে তার স্থলে নতুন কাউকে নিয়োগ দেয়া যেতে পারে । মাতৃকালীন ছুটি ভোগ করার শেষে কর্মস্থলে যোগদানের পর তার সন্তানের জন্মের সনদপত্র (বার্থ সার্টিফিকেট) জমা দিতে হবে।
(চ) যদি কোন শিক্ষক বা খাদেম ছুটি না নিয়ে অনুপস্থিত থাকে অথবা মঞ্জুরীকৃত ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর ছুটির মেয়াদ বৃদ্ধি না করে অনুপস্থিত থাকেন, তবে সেই কয়েক দিনের অনুপস্থিতির বেতন পাবে না এবং তাকে ভবিষ্যতে এরুপ না করার জন্য সতর্ক করে দেয়া হবে। সতর্ক করে দেয়ার পরেও যদি বারবার একই অনিয়মের পুনরাবৃত্তি ঘটায় তবে সে তার খেদমত হতে বরখাস্ত যোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
ছ) মুহতামিম এবং নাজেমে তা’লীমাত ছুটি নেয়ার প্রয়োজন হলে তাদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের সুষ্ঠু ব্যবস্থা করেদফতরে লিখিত দরখাস্ত রেখে ছুটি ভোগ করতে পারবেন। প্রাপ্য ছুটির অতিরিক্ত ছুটি ভোগ করতে হলে মজলিসে আমেলার অনুমোদন প্রয়োজন হবে।
*জ) কোন শিক্ষক ও খাদেম ইত্তেফাকি ছুটির অর্ধেক বা তার কম ভোগ করলে তাকে বৎসর শেষে সম্মানী স্বরুপ পুরস্কৃত করা হবে এবং এটা তার পদোন্নতির সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হবে।
ঝ) বন্ধের পর খোলার দিন ১ম ঘন্টায় উপস্থিত হ’তে ব্যর্থ হলে অর্ধ দিন ছুটি হিসাবে গণ্য হবে এবং সে ক্ষেত্রে পূর্ববর্তী বন্ধের অর্ধেক সময়কালীন ছুটি হিসাবে গণ্য হবে।
**ঞ) নতুন শিক্ষক বা খাদেমদের নিয়োগ ১ বৎসর পর্যন্ত অস্থায়ী ভিত্তিতে থাকবে। তারা ইত্তেফাকী এবং অসুস্থতার ছুটি ৬মাস পরে** ভোগ করতে পারবে। এই সিদ্ধান্তটি রহিত হয়ে।
ক) মাদরাসার কোন শিক্ষক কিংবা খাদেমের উপর অর্পিত দায়িত্ব যদি অন্য কোন শিক্ষক কিংবা খাদেমের উপর বন্টন করে দেয়া হয়, তবে তার স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তিকে দশ দিন পর্যন্ত অতিরিক্ত সম্মানী দেয়া হবে না।
খ) দশ দিনের অতিরিক্ত সময়ের জন্য স্থলাভিষিক্ত ব্যক্তিকে অতিরিক্ত সম্মানী দেয়া যেতে পারে। তবে উক্ত খাদেম বা শিক্ষকের নির্ধারিত বেতনের অর্ধাংশ তার প্রাপ্য হবে।
মজলিসে শুরা ও আমেলার সদস্য এবং মাদরাসার শিক্ষক ও খাদেম যদি মাদরাসার প্রয়োজনে সফর করেন, তবে নি¤œ বর্ণিত তফসিল অনুযায়ী মাদরাসার পক্ষ হতে সফর খরচ বহন করা হবে।
ক) মুহতামিমের নির্দেশক্রমে মাদরাসার প্রয়োজনে কোন শিক্ষক বা খাদেম সফর করলে তাকে যাতায়াত ভাতা ও খরচাদির যথাযথ হিসাবাদি দাখিল সাপেক্ষে দেয়া হবে।
খ) মজলিসে শুরা ও আমেলার সদস্যগণ মাদরাসায় আগমন করলে অথবা মাদরাসার প্রয়োজনে কোথাও সফর করলে তাদের পেশকৃত হিসাব অনুযায়ী মাদরাসার প্রয়োজনে কোথাও সফর করলে তাদের পেশকৃত হিসাব অনুযায়ী সফর খরচ দেয়া হবে।
মাদরাসার প্রয়োজনে হিসাব সাপেক্ষে অগ্রিম অর্থ প্রদান করা যাবে, কিন্তু যে সকল খাদেমদের দায়িত্বের জন্য জামানত দাখিল করতে হয় সাধারণত হিসাব সাপেক্ষে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ জামানতের আওতায় থাকতে হবে।
ক) যারা মাদরাসার প্রয়োজনে হিসাব সাপেক্ষ্যে অর্থ গ্রহণ করবে তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণ হওয়ার ১৫ দিনের মধ্যেঅবশ্যই যথাযথ হিসাব দাখিল করতে হবে। হিসাব দাখিল করার পূর্বে পুনরায় অর্থ প্রদান করা যাবে না। দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনাসমূহের প্রতি ১৫ দিনের খরচের হিসাব অবশ্যই দাখিল করতে হবে।
খ) অর্থ সংক্রান্ত ব্যাপারে ও ধারাবাহিক লেনদেনে যে সকল খাদেমের জামানত দাখিল করতে হয় তাদেরকে হিসাব সাপেক্ষে প্রদত্ত অর্থের পরিমাণ জামানতের আওতায় থাকতে হবে। যদি জামানতের উর্ধ্বে হিসাব সাপেক্ষে অর্থ প্রদান করার প্রয়োজন দেখা দেয়, তবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির পক্ষ হতে উপযুক্ত সুপারিশ সম্বলিত আবেদন সাপেক্ষে যথাযথ প্রাপ্তি স্বীকার পত্রের মাধ্যমে তার হাতে প্রদান করা অথবা ডাকযোগে প্রদান করা যেতে পারে।
গ) মাদরাসার যে কোন অর্থ যথাসময়ে দফতরে জমা না করা অথবা যুক্তিসংগত কারণ ব্যতীত নিজের অধীনে রাখা আতœসাৎ বলে গণ্য হবে।
স্মাঃ বিঃ -৫২ ।
স্বাভাবিক অবস্থায় কোন স্থায়ী শিক্ষক কিংবা খাদেমকে অপসারণ করার প্রয়োজন দেখা দিলে * শাবানের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে। অনুরুপ কোন শিক্ষক বা খাদেম স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করতে চাইলে তাকেও ** রজব মাসের মধ্যে কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে অবহিত করতে হবে।
স্মাঃ বিঃ -৫৩।
যদি কোন শিক্ষক বা খাদেম মাদরাসার ক্ষতি সাধনে লিপ্ত হয় অথবা তার কার্যের দ¦ারা মাদরাসার ক্ষতি সাধিত হয অথবা ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দেয় এবং সতর্ক করা সত্তে¦ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি সংশোধন না হয অথবা, এরুপ অন্যায় করে বসে যা দ্বারা তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে মাদরাসার ক্ষতি হওয়ার আশংকা দেখা দেয় তখন উভয় অবস্থাতে তাৎক্ষণিক নোটিশের দ্বারা সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে অপসারণ করা যাবে।
মাদরাসার সকল শিক্ষক ও খাদেমের বেতন নির্ধারণ ও উন্নতি মজলিসে শুরা কর্তৃক গৃহীত বেতন মান (গ্রেড) এর অধীনে থাকবে।
বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল অনুসারে ছাত্রদেরকে মাদরাসার সাধ্যানুযায়ী বৃত্তি প্রদান করা যাবে এবং এর নিয়ম-কানুন মজলিসে আমেলা প্রনয়ণ করবে, তবে এ ব্যাপারে উপ-মজলিসে ইলমীর সুপারিশ গ্রহণযোগ্য।
মাদরাসার শিক্ষক, খাদেম, কর্মচারী ও কর্মকর্তা নিয়োগের ব্যাপারে ৫ সদস্য বিশিষ্ট একটি পরিষদ থাকবে এবং এ পরিষদ নিয়োগনীতি প্রণয়ন করবে পরিষদের সদস্যবৃন্দ নি¤েœ বর্ণিত ব্যক্তিবর্গ থাকবেন।
ক) মজলিসে শুরা কর্তৃক ০১ জন সদস্য।
খ) মজলিসে আমেলা কর্তৃক ০১ জন সদস্য।
গ) শিক্ষা বিষয়ক উপদেষ্টা ০১ জন সদস্য (তাৎক্ষণিক যাকে পাওয়া যায়)
ঘ) মাদরাসার মুতাওয়াল্লী ০১ জন সদস্য। পদাধিকার বলে সদস্য।
ঙ) মাদরাসার মুহতামিম ০১ জন আহবায়ক (পদাধিকার বলে আহবায়ক) উক্ত বোর্ডের আহবায়ক সকলের নিয়োগের প্রক্রিয়া মজলিসে শুরার কাছে পেশ করবেন এবং তা চূড়ানÍ করবেন।
মাদরাসার শিক্ষক ও খাদেমদের জন্য সঞ্চয়ী হিসাব চালু করা যাবে এবং তার নিয়ম কানুন মজলিসে আমেলা (কার্যনির্বাহী পরিষদ) প্রণয়ন করবে। উক্ত অর্থ বাংলাদেশ ব্যাংকের তফসিলভুক্ত যে কোন ব্যাংক এ আলাদা হিসাবে রাখা হবে যা মাদরাসার মূল একাউন্ট এর ন্যায় পরিচালিত হবে।
বর্তমান রুপালী ব্যাংক লিঃ মালিবাগ শাখা, ঢাকা এবং জিয়ানগর শাখা, পিরোজপুর, হিসাবদ্বয়ের নাম্বার যথাক্রমে সি,ডি ১৮৪১ এবং ৩৬০ এ হিসাব দুটি দারুল উলূম বালিপাড়া কওমী মাদরাসা এর প্রতিষ্ঠাতা জনাব এইচ, এম, শামসুদ্দীন সাহেবসহ মাদরাসার মুহতামিম এবং মাদরাসার একজন নির্বাহী সদস্যের যৌথ স্বাক্ষরে পরিচালিত হয়ে আসছে এবং তা ভবিষ্যতেও বলবৎ থাকবে। তবে যৌথ স্বাক্ষর বলতে প্রতিষ্ঠাতা তথা মুতাওয়াল্লী সাহেবের স্বাক্ষর অত্যাবশ্যক রেখে অপর দুজনের যে কোন একজনের স্বাক্ষর বুঝাবে, তবে ভবিষ্যতে নতুন কোন ব্যাংক হিসাব খোলার প্রয়োজন দেখা দিলে তাও বর্তমান নিয়মেই পরিচালিত হবে, তবে ব্যাংক হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবর্তনের প্রয়োজন হলে প্রতিষ্ঠাতা তথা মুতাওয়াল্লী সাহেবের স্বাক্ষর অত্যাবশ্যক রেখে মজলিসে আমেলা মুহতামিমসহ অন্য সদস্যকে পরিবর্তন করতেপারবে।
উল্লেখ্য যে কোন ব্যাংক হিসাব পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠাতা সাহেবের অবর্তমানে চলমান মুতাওয়াল্লীর স্বাক্ষর অত্যাবশ্যক হবে।
মাদরাসার আর্থিক বৎসর সমাপ্তির পর নিবন্ধিত হিসাব নিরীক্ষক দ্বারা হিসাব নিরীক্ষণ করত: মজলিসে শুরার অনুমোদনক্রমে তা বার্ষিক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা যাবে।
বালিপাড়া ইন্দুরকানী পিরোজপুর
© সমস্ত অধিকার সংরক্ষিত দারুল উলূম বালিপাড়া কওমী মাদ্রাসা | সোমবার | ১লা জমাদিউল আউয়াল, ১৪৪৬ হিজরি | ১৯শে কার্তিক, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ | হেমন্তকাল | ৪ঠা নভেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ | সকাল ১১:৪১